বাংলাভয়েস.নিউজ
স্পোর্টস ডেস্ক :: আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ কামালের নামে চট্টগ্রামে ক্লাব কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছে গত অক্টোবরে। মাঠে গড়ানো তৃতীয় এই প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মালয়েশিয়ার ক্লাব তেরেঙ্গানু এফসি। কিন্তু দীর্ঘ আট মাস হতে চললো, এখনও মালয়েশিয়ান ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রাইজমানির ৫০ হাজার ডলার হাতে পায়নি।
তেরেঙ্গানু এফসি প্রাইজমানি না পেয়ে বেশ হতাশ। দলটির ম্যানেজার জো বলেছেন, ‘আমরা এখনও প্রাইজমানি পাইনি। তারা আগের মতো শুধু আশাই দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অফিসের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হচ্ছে। শুধু নতুন করে আশাই দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ক্লাব সভাপতি হয়তো ফিফা ও এএফসিতে বিষয়টি জানাবেন। অপেক্ষায় আছি ক্লাবের আইনজীবী কী বলেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে বিরক্ত তেরেঙ্গানুর কর্মকর্তা ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতাটিতে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আসলে এমন অভিজ্ঞতা আমাদের কখনোই হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা এই প্রতিযোগিতায় আর খেলবো না। আমাদের খেলোয়াড়ও সেখানে যেতে চায় না। আমাদের খেলোয়াড়েরাও বেশ হতাশ হয়ে পড়েছে। আমি জানি না অন্য কোনও প্রতিযোগিতায় এমনটি হয় কিনা। একটি প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর প্রাইজমানি পেতে প্রায় এক বছর লাগে!’
প্রতিযোগিতার আয়োজক মূলত চট্টগ্রাম আবাহনী। শুরু থেকে ক্লাবটির পরিচালক ও শেখ কামাল ক্লাব কাপের প্রধান সমন্বয়ক এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন। আট মাস ধরে প্রাইজমানি ঝুলিয়ে রাখায় দেশে কিংবা দেশের বাইরে ফুটবলাঙ্গনে শহীদ শেখ কামালের নাম এক কথায় ভূলুন্ঠিত হয়েছে।
ক্রীড়াপ্রেমীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে রুহুল আমিনকে বারবার মোবাইলে ফোন করে পাওয়া যায়নি, তিনি ফোন ধরেননি। তাকে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘এর আগেও আমরা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের আয়োজন করেছি। বরাবর চ্যাম্পিয়ন দলকে প্রাইজমানি বুঝিয়ে দিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে। এবার বিভিন্ন স্পনসরের অর্থ এখনও পুরোপুরি পাইনি। তারপরও আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করি এ সপ্তাহের মধ্যে স্পনসরদের অর্থ দেওয়া হবে।’
কিন্তু তার সেই প্রতিশ্রুতি ছিল মিথ্যা। আসলে এই মাসের শুরুর দিকে বাফুফের মাধ্যমে প্রাইজমানি দেওয়ার কাজটি করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। যা এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রক্রিয়াধীন আছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘গত ২ জুলাই তারা আবেদন করেছে আমাদের মাধ্যমে। ৫০ হাজার ডলার সমমানের টাকাও তারা আমাদের অ্যাকাউন্টে দিয়েছে। আমরা কাজও শুরু করেছি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে তা করতে কিছুটা সময় লাগছে। এরইমধ্যে মালয়েশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনকে আমরা বিষয়টি অবহিত করছি।’ সূত্র-বাংলাট্রিবিউন
বি.ভ/এন.এম