বাংলাভয়েস.নিউজ
দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপি গ্রাহক অ্যাননটেক্স। তারপরই রয়েছে ক্রিসেন্ট গ্রুপের নাম। প্রতিষ্ঠান দুটি জালিয়াতি করে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে আহসানুল ইসলাম টিটুর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেয়া তালিকা অনুযায়ী, অ্যাননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপ রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠান দুটিই ঋণের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অ্যাননটেক্সের মালিক হলেন ইউনুছ বাদল। তিনি বিদেশে পালিয়েছেন। আর ক্রিসেন্টের মালিক দুইজন। তারা হলেন এমএ কাদের ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আবদুল আজিজ। এদের মধ্যে এমএ কাদের গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে বন্দি।
ঋণখেলাপির শীর্ষ তালিকায় নাম এসেছে বিল্ডট্রেড গ্রুপ ও চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমানের। তার খেলাপি ঋণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। শীর্ষ তালিকায় রয়েছেন আলোচিত ব্যবসায়ী মোতাজ্জেরুল
ইসলাম মিঠু। তার মালিকানাধীন ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, নর্থ বেঙ্গল পোলট্রিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এ দু’জনই এবি ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন।
সংসদে অর্থমন্ত্রীর প্রকাশিত ঋণখেলাপির তালিকায় বেশকিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- রহিম আফরোজ, নাভানা লিমিটেড, অটবি, মুন্নু গ্রুপ, ঢাকা ডায়িং, দুসাই হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারি, কেয়া, গ্রামীণ শক্তি, সিনহা ইয়ার্ন অ্যান্ড ডায়িং।
বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের বাংলালায়নের খেলাপি ঋণ ৫১৮ কোটি টাকা। ব্যবসায়ী সাইদ হোসেন চৌধুরীর পরিবারের এইচআরসি শিপিংয়ের খেলাপি ঋণ ১৭০ কোটি টাকা।
গনমাধ্যেম মালিকদের মধ্যে মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের খেলাপি ঋণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা এবং ব্যবসায়ী এমএনএইচ বুলুর খেলাপি ঋণ ২৫০ কোটি টাকা।
এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিংসহ বেশ কয়েকটি রয়েছে।
বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করোলা কর্পোরেশন এবং পারটেক্স সুগার মিলসও আছে ঋণখেলাপির তালিকায়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসভিত্তিক হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।
বি.ভ/এন.এম