বাংলাভয়েস.নিউজ
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় র্যাব যাকে আটক করেছে তার নাম মজনু। আটক মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাব বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেছে সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আটক মজনুকে নিয়ে বুধবার দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আসে র্যাব। সেখানে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মজনু এর আগে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে। তার শিকার ছিল প্রতিবন্ধী নারী ও ভিক্ষুক। তাদের ধরে এনে ধর্ষণ করত সে। ওই ছাত্রীকে যেখানে ধর্ষণ করেছে একই জায়গায় আগেও সে আরো অনেককেই ধর্ষণ করেছে।
আরো পড়ুন- ধর্ষকের চেহারার বর্ননা পেয়েছে পুলিশ, সংগ্রহ করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানিয়েছে, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজের খারাপ অবস্থার কারণে আর বিয়ে করতে পারেনি সে। এরপর থেকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী নারী এবং ভিক্ষুককে ধর্ষণ করেছে। তার টার্গেট ছিল মূলত মানসিক প্রতিবন্ধী নারীরা। সুযোগ বুঝে তাদের ধর্ষণ করত সে।
মজনু জানিয়েছে, এই প্রথম প্রতিবন্ধী নয়- এমন কাউকে ধর্ষণ করেছে সে। তার বাড়ি হাতিয়ায়।
আরো পড়ুন- ধর্ষণের প্রতিবাদে রাতেও উত্তাল ঢাবি ক্যাম্পাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যেদিন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সারোয়ার বলেন, সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখেন ও তাকে ধর্ষণ করার জন্য টার্গেট করেন।
এর আগে বুধবার রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে আটকের পর মজনুকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাব। তার কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন, পোর্টেবল চার্জার ও ব্যাগ পাওয়া গেছে।
বি.ভ/এন.এম