বাংলাভয়েস.নিউজ
দেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা সামনে এনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অবিলম্বে অপসারণ দাবি তুলেছেন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ।
মঙ্গলবার দুপুরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্ত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি তোলেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এটির আমূল বদলানো দরকার। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে হারুন বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিন। সরিয়ে দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপযুক্ত ব্যক্তিকে বসান। কমিটমেন্ট আছে এমন লোকদের বসান।
হারুন অর রশিদ বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞ দল বলেছে– বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিতে তারা হতাশ। তাই এই যে সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট জাতীয় সংকট। এই সংকট উত্তরণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলুন।
তিনি যে করেই হোক করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাত ঢেলে সাজানোর উপর জোর দেন। একইসাথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব রাজনৈতিক নেতার মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার বিএনপির এই এমপি কিছু অসংসদীয় কথা তার বক্তব্যে বলেছেন উল্লেখ করে সংসদে প্রতিদিনের কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেয়ার ঘোষণা দেন। স্পিকারের বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে এমপি হারুনকে বাজেটের ওপর আর ১ মিনিট বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় হারুন ফ্লোর নিয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আপনি সময় বাড়িয়ে দেননি। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলার পর আপনি ১ মিনিট সময় বাড়িয়েছেন। আমি আর বক্তব্য দেব না। আপনি আমার বক্তব্যে ইন্টারাপ্ট (বিঘ্ন ঘটানো) করেছেন। এর প্রতিবাদে আমি সংসদ থেকে ওয়াকআউট করছি। এর সঙ্গে সঙ্গেই হারুন কক্ষ ত্যাগ করেন।
বি.ভ/এন.এম