বাংলাভয়েস.নিউজ
পর্যটন ডেস্ক :: একদিকে দিগন্তজোড়া জলরাশি আর অন্যদিকে কেওড়া বন নিয়ে সাজানো সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালি সি বীচ।
সাগর আর বনের অপরূপ সৌন্দর্যের পূর্নতা পাবে সীতাকুন্ড বাজার থেকে মাত্র ৫ কি.মি দূরে গুলিয়াখালি সি বীচ-এ।
অনিন্দ্য সুন্দর গুলিয়াখালিকে সাজাতে প্রকৃতি কোন কার্পণ্যতা করেনি। সৈকত আর বন যেন মিলেমিশে একাকার গুলিয়াখালিতে।
এখানে দেখা যাবে সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বন। বনের ভিতরটা অনেকটা চলে গেছে সমুদ্রের মাঝে। সবুজ গালিচার ঘাস দর্শণার্থীদের মনকে ভরে তুলবে অনন্য আবেশে।

মেঘলা আবহাওয়ার গুলিয়াখালি
সমুদ্রের গর্জন আর বনের নিস্তব্ধতায় ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যায় পথিক। কিছু সময় পর সৈকত ঘিরে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা নালায় ভরে যায় জোয়ারের পানি।
ক্ষনিক আগে দেখা সবুজ ঘাসের গালিচা ডুব দেয় নোনা জলে।
সবুজ ঘাসের ফাঁকে স্রোতের জল ঢুকে পড়া বিচটি মুগ্ধ করবে সবাইকে।
সোনালি আভায় নিরব নিস্তব্ধ সমুদ্র সৈকত দৃষ্টি কেড়েছে দর্শণার্থীদের। অপরূপ সৌন্দর্যের গুলিয়াখালি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে উপচে পড়ে দর্শণার্থীদের ভিড়।
বিচে যাওয়ার আগেই শ্বাসমূল সৌন্দর্যে সুন্দর বন ভ্রমণের অনুভূতি কিছু অংশ পাবে।

গোধূলি বেলা গুলিয়াখালির রূপ
ভাগ্য ভালো হলে দেখা পেয়ে যেতে পারেন হরিণের। দিগন্ত জোড়া জলরাশির মাঝে নি:সঙ্গ পথিকের মত ভেসে বেড়ায় মাছ ধরার ট্রলার।
চাইলে জেলেদের বোটে ঘুরে আসতে পারেন। তবে এ জন্য জোয়ারের সময় খেয়াল রাখতে হবে।
প্রকৃতির অপরূপ রূপের পসরা, হৃদয় উজাড় করে দেয়া প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকনে খুব সহজে ঘুরে আসুন গুলিয়াখালি সি বীচ।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোনো বাসে যেতে পারবেন সীতাকুন্ড। এসি ও নন এসি উভয় বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যায়। সীতাকুন্ড থেকে সিএনজি, অটোরিকশা নিয়ে যেতে পারবেন গুলিয়াখালি সমুদ্রসৈকতে। সীতাকুন্ড থেকে মাত্র ৫ কি.মি দুরত্বে গুলিয়াখালি বীচে পৌঁছাবেন মাত্র ২০ মিনিটে। ভাড়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা নেবে। বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে অপরূপ সৌন্দর্যের আধার গুলিয়াখালি দর্শনে প্রথমে আসুন সীতাকুন্ড বাজার। এরপর অটো যোগে পৌছাবেন নৈসর্গিক গুলিয়াখালি বীচ।
বি.ভ/ এন.এম